ধসছে শেয়ার বাজার, পড়ছে টাকার দাম। কেন এমন হচ্ছে? হোয়াইট হাউস থেকে আসা একের পর এক ধাক্কায় টলমল করছে অর্থনীতির বিভিন্ন প্যারামিটার। কেন এটা হচ্ছে? ভারতের শেয়ার বাজার আজ টালমাটাল কেন? টাকার দামও ক্রমশ কমছে, যা সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কেন? অনেকেই ভাবছেন, কী হচ্ছে এসব? কেন হঠাৎ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? এর মূল কারণগুলো খুঁজতে গেলে চোখ রাখতে হবে আমেরিকার দিকে। বিশেষ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই সময়কার কিছু মন্তব্য এবং তাঁর প্রশাসনের নেওয়া একের পর এক কঠোর পদক্ষেপগুলোই এই অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রধান কারণ। আসুন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
মাত্র গতকাল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। বলেছেন যে, ভারত আর চীন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ‘প্রধান অর্থদাতা’, টাকার যোগানদার। ট্রাম্পের যুক্তি, রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে এই দুটো দেশ, আর সেই বিরাট টাকাই পরোক্ষভাবে যুদ্ধকে চালিয়ে নিয়ে যেতে রাশিয়াকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এই অভিযোগটা, ট্রাম্প সাহেবের মতে, অত্যন্ত গুরুতর এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবেই আমেরিকা ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে, যার ফলে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ এখন ৫০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভারত সরকার এই শুল্ককে ‘অযৌক্তিক এবং অনুচিত’ বলে মন্তব্য করেছে। তাতে অবশ্য ওনার কিছুই এসে যায় না। ট্রাম্প কেবল ভারতকেই নয়, ন্যাটো দেশগুলোর প্রতিও একই অভিযোগ করেছেন। কারণ তারাও রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করেনি। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের কোনও চুক্তিতে না আসে, তাহলে আরও কঠোর শুল্ক চাপানো হবে। কিন্তু কার্যত তিনি না চীনের উপরে না ঐ ইউরোপিয়ান দেশগুলোর উপরে কোনওরকম পেনাল্টি ট্যারিফ চাপাননি। অনেকেই ধেই-ধেই নেত্য করেছিলেন, নাকি নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নাকে ঝামা ঘষে ট্রাকে এনেছেন। ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সেটা দেখে কিছু নির্বোধের এটাই মনে হয়েছে। এটা যে একটা স্রেফ আনুষ্ঠানিক একটা চাল, আর কিছুই নয় তা বোঝার বয়স বা বুদ্ধি ওনাদের নেই। আসলে শুভেচ্ছা আর ট্যারিফ চাপানোর এই আপাত বৈপরীত্যের পিছনে রয়েছে এক গভীর রাজনৈতিক কৌশল। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং দেশের বাণিজ্যিক স্বার্থ সম্পূর্ণ আলাদা। মোদির প্রতি ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা একটা কূটনৈতিক সৌজন্য মাত্র। কিন্তু যখন দেশের অর্থনৈতিক বা ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের প্রশ্ন আসে, তখন সেই সম্পর্ক কোনও প্রভাব ফেলে না, সেটা পদে পদে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ট্রাম্প। তাঁর কাছে আমেরিকান কর্মসংস্থান রক্ষা এবং নিজের দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা নিশ্চিত করাটাই প্রধান লক্ষ্য। তাই শুভেচ্ছাবার্তার মাধ্যমে তিনি ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। কিন্তু একইসঙ্গে ভারতের উপর বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগ করে নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যগুলো পরিষ্কার করে জানিয়ে দিচ্ছেন। এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে বোঝা যায়, এটা কোনও ভুল বোঝাবুঝি নয়, বরং এটা আমেরিকার নীতির এক সুপরিকল্পিত প্রতিফলন। এবং মাথায় রাখুন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই কঠোর নীতি কেবল শুল্ক আরোপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ভারতের অর্থনীতির প্রধান দুটো স্তম্ভ, অর্থাৎ রফতানি এবং তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতকে লক্ষ্য করে তারা আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এই তিনটে পদক্ষেপ একসঙ্গে ভারতের উপর এক সম্মিলিত অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | জিএসটি চালু হল, মানুষ কী পেল?
প্রথমত, ৫০ শতাংশ শুল্কের কোপ। এই শুল্কের কারণে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্য ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এই উচ্চ মূল্য ভারতের রফতানিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সাধারণত, টাকার দাম কমলে রফতানিকারকরা লাভবান হন, কারণ তখন তাঁদের পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সস্তা মনে হয়। কিন্তু এই ৫০ শতাংশ শুল্কের দেওয়াল সেই স্বাভাবিক সুবিধাটুকুও পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। রফতানিকারকরা বলছেন, টাকার মূল্য কিছুটা কমলেও শুল্কের কারণে তাঁদের প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা আর থাকছে না। দ্বিতীয়ত, ‘এইচ ওয়ান বি ভিসা’র দাম বাড়ানো। নতুন আবেদনকারীদের জন্য এইচ ওয়ান বি ভিসার ফি এক লাফে ১ লক্ষ ডলার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের আইটি সেক্টরের আয়ের অর্ধেকের বেশি আসে আমেরিকা থেকে। এই বিশাল ফি বৃদ্ধির ফলে আইটি কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমে যাচ্ছে। একইসঙ্গে, এই পদক্ষেপের কারণে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বা বিদেশি মুদ্রা ইনফ্লো কমে আসারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তৃতীয়ত, আউটসোর্সিংয়ের উপর নতুন বিপদ। আমেরিকার প্রস্তাবিত ‘HIRE Act’ নামে একটা আইন বছরের শেষেই আসছে। সেটা যদি পাস হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এই আইনে বলা হয়েছে, আউটসোর্সিং বাবদ যে টাকা দেওয়া হয়, তার উপর ২৫ শতাংশ কর চাপানো হবে এবং এই খরচকে আর করমুক্ত রাখা হবে না। এই আইন কার্যকর হলে, আইটি কোম্পানিগুলোর মুনাফা আরও কমে যাবে। চুক্তির শর্ত নতুন করে আলোচনা করতে হবে এবং অনেক চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হবে। আর এই তিনটে পদক্ষেপকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে ভুল হবে। শুল্ক আরোপের পিছনে আছে ভূ-রাজনৈতিক কারণ, মানে রাশিয়া থেকে তেল কেনা। আর ভিসা ও আউটসোর্সিং সংক্রান্ত আইনগুলোর পেছনে রয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, আমেরিকায় কর্মসংস্থান বাড়ানো। এই দুই কারণের মেলবন্ধন ভারতকে কোণঠাসা করার জন্য একটা সম্মিলিত আর সুপরিকল্পিত কৌশল বলেই সব্বার মনে হচ্ছে। হ্যাঁ মোদিজিও এটা বুঝেছেন। এই ‘ট্রিপল অ্যাটাক’ ভারতের বৈদেশিক নীতিকে প্রভাবিত করতে এবং আমেরিকান অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ট্রাম্প প্রশাসনের ইচ্ছার সঙ্গে খাপে-খাপ। দেখুন না, শেয়ার বাজারের দিকে তাকিয়ে- টাকার হাহাকার চলছে। আমেরিকার এসব নীতির সরাসরি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ভারতের শেয়ার বাজার এবং টাকার মূল্যে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারত থেকে তাঁদের টাকা তুলে নেওয়া শুরু করেছে। এর ফলে শেয়ার বাজারের সূচকগুলো হুহু করে নেমে যাচ্ছে এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। বাজারের পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়, এই পতনের তীব্রতা কতটা।
গতকাল সেনসেক্স সূচক ৫৭.৮৭ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ কমে ৮২,১০২.১০ পয়েন্টে নেমেছে। একইসাথে নিফটি ৫০ সূচকও ৩২.৮৫ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ কমে ২৫,১৬৯.৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই পতনের মূল কারণ হল বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়া। মঙ্গলবারেই তাঁরা ৩,৫৫১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে। আর গত দু’দিনে মোট প্রায় ৫,৫২৩ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এই বিদেশি পুঁজি তুলে নেওয়া বাজারকে এক ধাক্কায় অনেক নিচে নামিয়ে এনেছে। বিশেষ করে আইটি এবং বড় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোর শেয়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ তারা সরাসরি আমেরিকার নীতির সঙ্গে যুক্ত। শেয়ার বাজারের পতনের পাশাপাশি টাকার দামেরও করুণ অবস্থা। মঙ্গলবার ডলারের বিপরীতে টাকা ৮৮.৭৫-এর নতুন সর্বনিম্নে নেমে আসে, যা আগের দিনের ৮৮.৩১-এর তুলনায় আরও কম। চলতি আর্থিক বছরে টাকার মূল্য ৩.৭ শতাংশ এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৩.৫৪ শতাংশ কমেছে, যা ভারতীয় টাকাকে এশিয়ার দ্বিতীয়-সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা কারেন্সি করে তুলেছে। এবং এর উপরে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পতন আরও বাড়তে পারে। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার প্রধান অর্থনীতিবিদ মদন সবনাভিস মনে করেন, বছর শেষে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ৮৯-৮৯.৫০ পর্যন্ত যেতে পারে। আর টেকনোক্র্যাফট ইন্ডাস্ট্রিজের এসকে সরাফ আরও খারাপ পূর্বাভাস দিয়েছেন। তাঁর মতে, আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে টাকার দাম ১০০ ছুঁয়ে ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতি এক নেগেটিভ সাইকল তৈরি করেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের টাকা তুলে নেওয়ার ফলে শেয়ার বাজার পড়ছে, যা আরও বেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করছে। এর ফলে আরও বেশি পুঁজি প্রত্যাহার হচ্ছে এবং টাকার মূল্য আরও কমছে। সাধারণত টাকার মূল্য কমলে রফতানিকারকরা কিছুটা সুবিধা পান। কিন্তু এখন সেই সুবিধাও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে। টাকার দাম কমা এখন আর কোনও ইতিবাচক ফল দিচ্ছে না। বরং কেবল আমদানি খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা তেল, ইলেকট্রনিক্স এবং অন্যান্য বিদেশি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। ভারতের এপ্রিল-জুন সময়ের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ১৪.৬ বিলিয়ন ডলারের সারপ্লাস থেকে ২.৪ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতিতে চলে গিয়েছে। আগামীদিনে কী আসতে চলেছে এই তথ্য সেটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
তাহলে সরকার কী করছে? ভবিষ্যতে কী হতে পারে? এইরকম এক কঠিন পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক। সরকার আমেরিকার চাপানো শুল্ককে ‘অযৌক্তিক এবং অনুচিত’ বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে। উরিব্বাস! কত্ত বড় কাজ করেছে। এবং সরকার এটাও জানে যে এর বাইরে এই সমস্যার সমাধান রাতারাতি করা সম্ভব নয়। কারণ এই সমস্যা আজ তৈরি হয়নি, মাথা হেঁট করে হেঁহেঁ করার সময়েই এটা মাথায় রাখলে আজ কাজে দিত। এটা কেবল অর্থনৈতিক সংকট নয়, এটা এক জটিল ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ, যার মোকাবিলা করতে হলে সত্যি এক ৫৬ ইঞ্চির সিনা দরকার। তার মধ্যেও মাঠে নেমেছেন কিছু আমলা, তাঁদের পরামর্শে এই পরিস্থিতিতে কিছু কাজ শুরু হয়েছে। যদিও সরকারের কৌশল বা অপশন খুবই সীমিত। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া টাকার মূল্যকে হঠাৎ করে ধসে যাওয়া থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। তারা ধীরে ধীরে টাকার মূল্যকে পড়তে দিচ্ছে, যাতে করে রফতানি খাতের কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায় এবং একই সঙ্গে বাজারের অস্থিরতা কম থাকে। কিন্তু আমেরিকার শুল্কের কারণে এই কৌশল খুব বেশি কার্যকর হচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে। ট্রাম্পের নীতির কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে কাটবে না। একদিকে ভূ-রাজনৈতিক কারণে (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) আমেরিকার চাপ, আর অন্যদিকে তাদের অর্থনৈতিক সুরক্ষাবাদের নীতি (ভিসা ও আউটসোর্সিং) ভারতকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলে দিয়েছে। এই দুই ধরনের চাপকে মোকাবিলা করা সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণ মানুষের জন্য এর অর্থ হল আমদানি করা পণ্যের (যেমন অপরিশোধিত তেল, ইলেকট্রনিক্স) দাম বাড়া, যার ফলে মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়বে এবং দৈনন্দিন জীবনে খরচ বাড়বে। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সরকারকে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক—দুই স্তরেই সতর্ক পদক্ষেপ নিতে হবে। রাতারাতি কোনও সমাধান সম্ভব নয়। কারণ ভূ-রাজনৈতিক চাপ এবং অর্থনৈতিক নীতির এই মেলবন্ধন ভারতের জন্য এক নতুন এবং কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু সরকার কেবল কিছু অপটিক্স তৈরি করতে ব্যস্ত। জিএসটি কমিয়ে সাশ্রয়ের মতো নির্ভেজাল ভাট কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি গলা জড়িয়ে ‘মাই ফ্রেন্দ দোলান্দ ট্রাম্প’ বলেছিলেন, সেই ট্রাম্প সাহেব এখন ভারতের গলায় ফাঁস হয়ে বসেছেন।